স্বদেশ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের আজ শততম দিন। গত ১০০দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকা ও পশ্চিমতীরে নিহত হয়েছেন ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজার। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী-শিশু। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নেমেছেন লাখ লাখ মানুষ। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
গাজা উপত্যকায় পরিকল্পনামাফিক গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর দিনে-রাতে নির্বিচার বিমান হামলায় একদিকে মারা যাচ্ছে মানুষ, অন্যদিকে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে বাড়িঘর।
গাজা যুদ্ধের ১০০তম দিনের আজ জোহানেসবার্গ থেকে ওয়াশিংটন ডিসি পর্যন্ত- সারা বিশ্বে ফিলিস্তিনপন্থী ও যুদ্ধবিরোধী মানুষ বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছেন। তাদের দাবি একটাই, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো।
‘ফিলিস্তিনিদের জন্য বৈশ্বিক একাত্মতা দিবস’ ব্যানারে বিক্ষোভ হচ্ছে ওয়াশিংটন, লন্ডন, প্যারিস, বার্লিন, জাকার্তা ও কুয়ালালামপুরে।
এদিকে ইসরায়েলের তেলআবিবেও বিক্ষোভ হয়েছে। গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ১৩০ ইসরায়েলিকে মুক্ত করে নেওয়ার দাবিতে এ বিক্ষোভ হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা আকস্মিকভাবেই ইসরায়েলে হামলা চালায়। একদিনের হামলায় ১১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি তেলআবিবের। এছাড়া হামাস জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও আড়াইশ ইসরায়েলিকে। এরমধ্যে ১২০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। আরও জিম্মি রয়েছে অন্তত ১৩০ জন।
হামাসের ৭ অক্টোবর হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকে গাজায় অনবরত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তাদের হামলায় শুধু গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছে ২৩ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও ৬০ হাজারের বেশি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বরাবরই বলছেন, হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে যাবে।